কাপাসিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি


নামকরণ


সংস্কৃত ও হিব্রু ভাষায় তুলার অপর নাম কার্পাস। হিন্দি ভাষায় কার্পাস। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। প্রচুর পরিমাণে কার্পাস বা তুলা উৎপাদন হওয়ার এই স্থানের নাম করা হয় কাপাসিয়া।

ভৌগোলিক অবস্থান

এ উপজেলার ভৌগলিক ২৪০.১০ উত্তর ও ৯০০.৫৭ পূর্ব। অবস্থান উত্তরে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও ও কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা, দক্ষিণে গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা, পূর্বে নরসিংদী জেলার মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা।

প্রশাসনিক এলাকা

এ উপজেলায় মোট ১১ টি ইউনিয়ন রয়েছে।
  • কাপাসিয়া ইউনিয়ন
  • তরগাঁও ইউনিয়ন
  • রায়েদ ইউনিয়ন
  • সিংহশ্রী ইউনিয়ন
  • বারিষাব ইউনিয়ন
  • টোক ইউনিয়ন
  • কড়িহাতা ইউনিয়ন
  • সন্মানিয়া ইউনিয়ন
  • ঘাগটিয়া ইউনিয়ন
  • দূর্গাপুর ইউনিয়ন ও
  • চাদঁপুর ইউনিয়ন।

ইতিহাস

কাপাসিয়া উপজেলা একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদের ভূমি গঠিত হয়েছে ২৫ লক্ষ বছর আগে। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। উল্লেখযোগ্য প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম একডালা দুর্গ উপজেলা সদর হতে ৫ কিঃমিঃ দূরে কালী বানার, শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। অনুমান করা হয় ৬০০ খ্রিঃ কোন হিন্দু রাজা এ দুর্গটি নির্মাণ করেন। এর দৈর্ঘ্য ৫ কিঃমিঃ, প্রস্থ ২ কিঃমিঃ। পান্ডুয়ার শাসনকর্তা হাজী শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ দুর্গটি ১৩৪২ খ্রিঃ হতে ১৩৫২ খ্রিঃ সময়ে সংস্কার করেছিলেন। পৌনে দু‘শ‘ বছর পর ১৫১৮ খ্রিঃ হতে ১৫৩২ খ্রিঃ আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র নাসির উদ্দিন শাহ পুনরায় দুর্গটি সংস্কার করেন। রায়েদ ইউনিয়নে কালী বানার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত দ্বার-ই দরিয়া (দরদরিয়া) দুর্গ ছিল একডালা দুর্গের শাখা দুর্গ। মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে রাজা টোডরমল এ অঞ্চলকে ভাওয়াল পরগণায় অন্তর্ভুক্ত করেন। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কাপাসিয়া থানা ২৮টি ইউনিয়ন ছিল বলে জানা যায়। ১৯২৪ সালে কাপাসিয়া থানাকে কালিগঞ্জ ও শ্রীপুর থানায় বিভক্ত করা হয়। ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় কাপাসিয়া থানা। ১৫-১২-১৯৮২ সালে কাপাসিয়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
সংগ্রহ :- বাংলা উইকিপিডিয়া

No comments

Theme images by Storman. Powered by Blogger.