একটা বাচ্চা, তার একমাত্র অপরাধ সে ঈদে বাড়ি যেতে চেয়েছিল!

একটা বাচ্চা, তার একমাত্র অপরাধ সে ঈদে বাড়ি যেতে চেয়েছিল।
নয় বছর বয়স মেয়েটার। পেটের দায়ে মা ওকে মানুষের বাসায় কাজ করতে পাঠিয়েছিল। জান্নাত নামের ছোট্ট মেয়েটাকে সেই বাসার সাহেব আর বিবিসাহেব মিলে গরম খুন্তির ছ্যাকা দিয়েছে।
টাইলসের সঙ্গে মেয়েটার মাথা ঠুকে ঠুকে মাথার চামড়া তুলে দিয়েছে। বিদ্যুতের তার দিয়ে পিটিয়েছে নয় বছরের মেয়েটাকে। এরপরও তারা নিজেদের মানুষ বলে দাবী করে। এরপরও তারা আয়নায় মুখ দেখে। তাদের লজ্জা লাগে না।

অথচ আমি নিশ্চিত গাজীপুরের জয়দেবপুরে জনৈক ওমর ফারুক-মনি বেগম দম্পতির নিজের না থাকলেও তাদের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কারো না কারো একটা নয় বছর বয়সী বাচ্চা আছে। মেয়েটার উপর নির্যাতন করার সময় একবারও সেই বাচ্চাটির চেহারা তাদের মনে ভাসেনি? একবারও মনে হয়নি জান্নাতেরও একটা মা আছে, ওর জীবনটাও জীবন? ও একটা মানুষ?

আমরা এখন অবাক হই, যে মানুষ কোন এক সময় অন্য মানুষের কেনা দাস হয়ে থাকতো। এদেশের ঘরে ঘরে যে বাচ্চাগুলোকে দিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করানো হয় তাদের দেখেও কি আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে দাস প্রথা ছিল এবং এখনো বহাল তবিয়তেই আছে?

No comments

Theme images by Storman. Powered by Blogger.